তুমি আত্রেয়ী নদীর মতো
অবিরল বয়ে চলেছো l
ঝকঝকে দুপুরে বা পড়ন্ত বিকেলবেলায়
তোমার জলে সূর্য্য খেলা করে,
আমার মুখে বিম্বিত তোমারি বিভা ,
আমি বাঁধানো পাড়ে বসে
সরসর করে বয়ে যাওয়া জলের শব্দ শুনি,
আর দেখি সৌখিন মাছশিকারীর বড়শিতে
তিনকাঁটা রাইখর আর চাঁদামাছ ধরা,
অন্য পাড়ে নৌকা তে বালি তুলছে
হয়তো বা বালিমাফিয়া হয়তো বা পারমিট পাওয়া ঠিকাদার l
বাঁধানো সিঁড়ি দিয়ে নামে গ্রামের বধূ
বাসন মেজে চান করে নেবে নদীতে l
দামাল ছেলেগুলো পাশের বটগাছে ঝুড়ি বেয়ে ঝোলে
আর পরম উল্লাসে ঝাঁপিয়ে পরে জলে l
দূরের পাড়ের জংলী যজ্ঞডুমুর আর সরগাছের ফাঁকে
ইদানিং দ্রুত অপসৃয়মান সূর্য্য জানান দেয় শীতের আগমন l
বর্ধিষ্ণু রাজবংশী পাড়ায় রিহার্সাল হবে সন্ধ্যায়
এবারের 'খন' পালা - বোষ্টম বাউদিয়ার গান l
এতাবৎ চঞ্চলপ্রান দুইপাড়ের দৃশ্যপট গুটিয়ে,
পৃথিবীর সব আলো শুষে নিয়ে,
আত্রেয়ীর জল ঘনকৃষ্ণ হয় -
যেন জীবনের সব রং গচ্ছিত রেখে
আমায় অভিভাবকীয় সুরে বলছে - কালকে আবার এস l
অনিবার্য রাতের সীমিত ব্যবধান, দলছুট কচুরিপানা, নির্বিষ জলঢোঁড়া
সব বহে যায় ইত্যবসরে l